আতশবাজি আর ইতালির রেকর্ড জয় দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে ইউরো ২০২১। উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রবার্তো মানচিনির দল।
ইউরোর ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। ম্যাচের শুরু থেকেই তুরস্ককে চাপে রাখে সবশেষ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে না পারা ইতালি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টির আবেদন করেও রেফারির সাড়া পায়নি ইতালি। বড় মঞ্চে ফেরার দিনে ইতালিকে তাই গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইতালির রাইট উইঙ্গার ডমেনিকো বেরারদির শট বাইলাইনকে স্পর্শ করলে তুরস্কের ডেমিরালের পায়ে লেগে বল ঢুকে যায় জালে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে সিরো ইম্মোবিলের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইতালি। আর ৭৯ মিনিটে ইনসিনিয়ার পা থেকে আসে তৃতীয় গোল।
এর আগে আতশবাজি আর নাচে-গানে ছোট আকারে হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। রেফারির বদলে ছোট কারে করে মাঠে প্রবেশ করে ফুটবল। মাঠে ছিল বিশাল সব রঙিন বল। স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে নেমে আসেন একেক জন ড্রাম বাদক। গানের তালে তালে তোলা হয় চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পতাকা।
দেখে বুঝার উপায় নেই মহামারী চলছে বিশ্বে। রোমার বিভিন্ন স্থানে ছিলো ফ্যান জোন। মাঠে ছিলেন দর্শকরাও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গানের তালে সুরে মিলিয়েছেন, গলা ফাটিয়েছেন জালে বল জড়ানোর পর।
ভিন্নতা ছিলো মাঠে ফুটবল প্রবেশে। রেফারির হাতে করে বল নিয়ে ঢোকার চিরায়ত দৃশ্য ছিল না উদ্বোধনী ম্যাচে। রেফারির বদলে রিমোট কন্ট্রোল কারে করে মাঠে প্রবেশ করে ফুটবল।
ম্যাচ শেষে মানচিনি বলেন, এতদিনে হয়তো সময় এসেছে দর্শকদের কিছুটা আনন্দ দেয়ার। কারণ দু’ বা তিন মাস আগেও যদি কেউ আমাকে আজকের রাতে রোমের কথা জিজ্ঞেস করতো তো আমি সাফ বলে দিতাম অসম্ভব। কারণ এমন কোন পরিবার ইউরোপে খুঁজে পাওয়া যাবেনা যারা এই মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর আজ দেখুন, রোমের স্টেডিয়ামে কতো মানুষ! তাদেরকে এই পারফরমেন্স উপহার দিতে পেরে সত্যিই আমরা আনন্দিত।
Leave a reply