একেবারেই শেষ দিকে এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। রোড এবং রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। একইসাথে চলছে রেলিং, গ্যাস ও বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড লাইনের কাজও। জানা গেছে, সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ এবং মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ। আগামী বছরের জুনের মধ্যে একই সাথে গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা সেতু জুড়ে।
গেল বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সম্ভাবনা থেকে রূপ নেয় বাস্তবতায়।
দ্রুতগতিতে সেতুর কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা। স্প্যান বসানোর পর সেতুতে মূল প্রাধান্য পায় রোড এবং রেল স্ল্যাব নির্মাণ। সেই কাজও শেষের পথে। ২৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বাকি আছে ৩০০টি এবং ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বাকি ২০০টি।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, রোড স্ল্যাব এবং রেলওয়ে স্ল্যাবের কাজ শেষ পর্যায়ে। রোড স্ল্যাবের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ এবং রেল স্ল্যাবের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ এবং মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৩.৫ শতাংশ। স্ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি কাজ চলছে প্যারাপেট ওয়াল বা রেলিং এর। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসলাইন স্থাপনের কাজও এগুচ্ছে সমানতালে।
স্ল্যাব বসানোর পর এর ওপর ১০০ মিলিমিটার পুরু কংক্রিটের আস্তরণ দেয়া হবে। এ ছাড়া চলবে রোড সাইন ও মার্কিং এর কাজ।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প ব্যয় এই পদ্মা সেতুর রেল লিংক নির্মাণ প্রকল্প। এবং নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বিরামহীনভাবে চলছে সেতুর নির্মাণকাজ। করোনার প্রভাবও পড়েনি কর্মযজ্ঞে। আশা করা যায়, ২০২২ সালের জুনে যখন পদ্মা সেতুর সড়ক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে তখন মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেল যোগাযোগও শুরু হবে।
Leave a reply