প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ের সময় বিরুদ্ধ স্রোতের যাত্রী সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে করেছিলেন ৮৪ রান। ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিল তখনি হাল ধরেন তামিমকে নিয়ে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২-তম ফিফটি।
এরপর বল হাতে একাই ভেঙ্গে দেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডার। একে একে তুলে নেন ম্যাট রেনশ, ন্যাথান লায়ন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডের উইকেট। ক্যারিয়ারের ১৬-তম বারের মতো পান ইনিংসে ৫ উইকেট!
এরপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে অজিরা। ওয়ার্নার-স্মিথরা যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে জয় যেন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। চিন্তা কী! সাকিব আল হাসান আছেন না?
৪র্থ দিনের প্রথম সেশনেই আউট করেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ওয়ার্নারকে। এরপর ফেরান নির্ভরযোগ্য স্টিভেন স্মিথকেও। লাঞ্চের পর সাজঘরের পথ দেখান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েডকে।
গতকালই নিয়েছিলেন ওসমান খাজার উইকেট। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে আবারও ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারের ২য় বারের মতো টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর তার বিষে নীল হয়ে টেস্টে টাইগারদের কাছে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলো অজিরা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply