সরকারি নির্দেশনায় কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ। পাশাপাশি বন্ধ বিয়েসহ সামজিক অনুষ্ঠানের গণজমায়েত। অথচ, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ‘ম্যানেজ’ করে আয়োজন হচ্ছে বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল অ্যান্ড ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন দাবি, আয়োজন যদি বন্ধই না করা যায় তবে তাদের প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক।
রাজধানীর কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টার ঘুরে দেখা যায় সেগুলোর বিশাল রসুই ঘরে শূন্যতা। সেখানে নেই রান্নার ধোঁয়া। বড় বড় হাড়ি-পাতিলগুলো অনেক দিন ধরে ব্যবহার হচ্ছে না। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বাবুর্চি-কমিউনিটি সেন্টার-ডেকোরেটর-ক্যাটারিং সংশ্লিষ্টরা।
একটি কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চি এরশাদ বলেন, আগে কখনোই এত কষ্টে থাকিনি। কাজ না থাকায় দিন দিন বেড়েছে ঋণের বোঝা, বাসা ভাড়া দিতে না পারায় স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি।
নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় এখন হোটেল-রেস্টুরেন্ট আর পার্টি সেন্টারে হয় নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। পরিচয় গোপন করে উত্তরা এলাকার কয়েকটি পার্টি সেন্টারে কথা বললে, তারা জানান ম্যানেজ করে অনুষ্ঠান হচ্ছে।
এমন নিয়ম মানতে চাচ্ছেন না কমিউনিটি সেন্টারের মালিক সমিতি। সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান করতে দেয়ার দাবি তাদের।
বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল অ্যান্ড ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এই খাতের সাথে তো পর্যটনের কোনো সম্পর্ক নেই। আছে রেস্টুরেন্ট-পার্টি সেন্টারের সাথে। অথচ কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ কিন্তু রেস্টুরেন্টে গেলে জায়গা পাওয়া যাবে না।
Leave a reply