অপোকুয়া কেওয়াপাং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একাকী বসবাস করতেন। তার বোন আদুমেয়া সাপোং থাকতেন ইংল্যাণ্ডের ম্যানচেস্টারে। এপলের ফেসটাইম এ্যাপের ভিডিওতে বোনের সঙ্গে কথা বলার সময় কেওয়াপাংয়ের স্ট্রোক হয়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তির বদৌলতে তিনি বেঁচে যান।
ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে অপোকুয়াকে ভালভাবে দেখতে পাচ্ছিলেন না তার বোন। ইতিমধ্যে অপোকুয়ার গলা জড়িয়ে এসেছে। ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। তখন আদুমেয়া সাপোং সতর্ক হয়ে বোনকে বলেন ,”তোমার এ্যাসপিরিন খাওয়া উচিত।”
অপোকুয়া এ্যাসপিরিন খাবার জন্য পানির গ্লাস হাতে নিতে চেষ্টা করলেন কিন্তু গ্লাসটি হাত থেকে পড়ে গেল। এ অবস্থায় বেশ ঘাবড়ে গিয়ে আদুমেয়া বোনকে বলেন-এখনই তোমার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত!
কিন্তু অপোকুয়া খুব একটা গা করেন না বিষয়টিতে। বলেন,”এতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। মামুলি বিষয়েও ডাক্টারের কাছে যেতে হবে কেন!”
আদুমেয়া তখন এক ডাক্তারকে কনফারেন্স কল দেন। তিনি কেওয়াপাংয়ের কথা শুনে ও অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলেন। এরপর কেওয়াপাং ফোন স্থগিত করে ৯১১-এ ডাক্তারি সাহায্যের জন্য কল দেন। হাসপাতালে গেলে পরীক্ষায় তার মাথার ভেতরে একটা পিণ্ড ধরা পড়ে।
পেশায় পুষ্টিবিজ্ঞানী কেওয়াপাং বলেন, “এতে কোন সন্দেহ নাই, ফেসটাইম আমার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে। নিজের কর্মব্যস্ততায় খুব একটা ভ্রমণের সময় পাই না তাই বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে হয়। এবার সেই ভিডিও কলই আমার জীবন বাঁচিয়ে দিল।”
জীবন বাঁচলেও স্ট্রোকে অপোকুয়া কেওয়াপাংয়ের শরীরের বাঁ পাশটা অবশ হয়ে গেছে।
Leave a reply