শর্ত সাপেক্ষে গ্লোব বায়োটেকের করোনার টিকার ট্রায়ালের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। তবে কোনো চাপের কারণেই দেরি হয়নি। পদ্ধতির বাইরে একদিনও সময় লাগানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। বুধবার যমুনা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান আমজনতায় রোকসানা আনজুমান নিকোলের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, মডার্নার ভ্যাক্সিন ১২ বছর ধরে গবেষণার পর তৈরি হচ্ছে।
কোভিড-১৯ দুই বছরেরও কম সময় ধরে আসলেও বারো বছর ধরে কীভাবে চলতে পারে মডার্নার ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের কাজ, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, মূলত করোনার সিমিলার কিছু হাব অনেক আগেই আবিষ্কার হয়েছে। যার ফলে তাদের পক্ষে অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
শর্তসাপেক্ষে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল অনুমোদন- এই শর্তের মায়াজালে ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট আরও পিছিয়ে যেতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে গ্লোব বায়োটেকের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বিএমআরসি থেকে আগামী রবি-সোমবার চিঠি পাওয়ার কথা রয়েছে। চিঠি পেলেই বলা যাবে, কী ধরনের শর্ত থাকতে পারে। তার আগে শর্তের ব্যাপারে কিছুই পরিষ্কার নয়। তবে যেহেতু এখন প্রযুক্তির সাহায্যেই অনেক কাজ করা যায়, তাই আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রতই সবকিছু শুরু করা যাবে।
এছাড়াও ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এক মাসে গ্লোব অন্তত এক কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করার সক্ষমতা রাখে।
বিদেশি ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে জটিলতার ফলেই বঙ্গভ্যাক্সের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, এমন গুঞ্জনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তা অস্বীকার করেন। তিনি এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। বলেন, সবকিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিমাফিকই হয়েছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।
গ্লোবের টিকার পরবর্তী প্রক্রিয়ার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেলে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন ব্যবহার পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Leave a reply