আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে রহস্য। এবার ম্যারাডোনার নার্স দাহিনা গিসেলা মাদ্রিদ দাবি করেছেন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং হত্যা করা হয়েছিলো ম্যারাডোনাকে।
ম্যারাডোনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগে চলমান তদন্তে এমন দাবি করেন দাহিনা গিসেলা। সবমিলিয়ে তদন্ত চলছে চিকিৎসক ও নার্সসহ সাতজনের বিরুদ্ধে। আর দাহিনার অভিযোগ নিয়ে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেশটির আদালতের।
সেই সাতজনের একজন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুক। দুই নার্স রিকার্দো ওমার আলমিরন ও দাহিনা গিসেলা মাদ্রিদ, নার্সিও কো-অর্ডিনেটর মারিয়ানো পেরোনি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সেবার কো-অর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনি, মানসিক স্বাস্থ্যবিদ কার্লোস আনহেল দিয়াস ও অগুস্তিনা কোসাচভ।
দাহিনা দাবি করেন, ম্যারাডোনাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই খুন করেছেন চিকিৎসকরা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেও কিছুই করেনি চিকিৎসকরা। হৃদরোগে আক্রান্ত ম্যারাডোনাকে মানসিক রোগের ওষুধ দেয়া হয়েছিল। যা হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়ায় মৃত্যু হয়েছিলো ফুটবল ঈশ্বরের।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর মারা যাওয়ার আগে বেশ কয়েক দিন ছিলেন হাসপাতালে ম্যারাডোনা। তখন তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ শোনা যায় তার মৃত্যুর খবর।
পর দিনই ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া মৃত্যুর পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান। গত মার্চে সান ইসিদ্রোর এই প্রসিকিউটরস অফিস তদন্ত শুরু করে। ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেলের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে দেওয়া চিকিৎসা ‘ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীন’ ছিল।
Leave a reply