ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাল

|

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাল। শেষমুহুর্তে নাটকীয়তার পর প্রার্থী তালিকায় টিকে রয়েছেন মাত্র ৪ জন। ধারণা করা হচ্ছে, ভোটে সহজ জয় পাবেন রক্ষণশীল প্রার্থী ইব্রাহিম রঈসি। তার মূল লড়াই হবে উদারপন্থী শিবিরের আব্দুল নাসের হিম্মতির মধ্যে। অবশ্য, টানা আন্তর্জাতিক চাপ আর নিষেধাজ্ঞায় বিরক্ত অনেক ইরানির আগ্রহ নেই এবারের নির্বাচন নিয়ে।

ইরানে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় চারশ’ জন আগ্রহী প্রার্থী ছিলেন এই নির্বাচনে, মনোনয়ন বাছাই প্রক্রিয়াতেই বাদ পড়ে গেছে হেভিওয়েট অনেক প্রার্থী। চূড়ান্ত লড়াইয়ে যে ৭ জন ছিলো বুধবার প্রচারণার শেষ দিনে সরে দাঁড়িয়েছেন তাদেরও তিনজন। ফলে শুক্রবার ব্যালটের লড়াই দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ জনের মধ্যে।

অবশ্য, রাজধানী তেহরানে প্রচার-প্রচারণায় স্পষ্টভাবেই প্রাধান্য ইব্রাহিম রঈসীর। জনমত জরিপেও এগিয়ে সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ এই নেতা। কট্টরপন্থী শিবিরের পুরো সমর্থন প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা রঈসীর দিকে।

রঈসীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে ৬৪ বছর বয়সী আব্দুল নাসের হিম্মতিকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন উদারপন্থীদের মুখপাত্র হিসেবে। পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক কিংবা পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও ভিন্নমুখী অবস্থান প্রধান দুই প্রার্থীর।

এবিষয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আব্দুল নাসের হিম্মতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং প্রমাণ করতে পারে যে, এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা তাদের নেই। তাহলে তাদের সাথে আলোচনায় আমি কোনো সমস্যা দেখি না। তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে অবশ্যই পরিবর্তন আসতে হবে।

অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ইব্রাহিম রঈসী বলেন, বর্তমান সরকারের ট্র্যাক রেকর্ড খুবই দুর্বল। কারণ তারা বারবার বিদেশিদের সাথে আলোচনা ও সমঝোতার ওপরই গুরুত্ব দিয়েছে। আপনি চাইলেই কোনো চুক্তি করতে পারেন, কিন্তু সাফল্য নির্ভর করে ওই চুক্তি বাস্তবায়নের দক্ষতা ও সক্ষমতার ওপর।

ইব্রাহিম রঈসীকে অনেকেই মনে করেন ইরানের ভবিষ্যৎ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। তাই তাকে বিজয়ী করাকে দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা রক্ষণশীলদের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিপরীতে, উদারপন্থী হিম্মতি জয়ী হলে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে। অবশ্য, অনেকটা একতরফা হয়ে ওঠা নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই অনেক ইরানির।

সাড়ে আট কোটি মানুষের দেশ ইরানে এবার ভোটার প্রায় ৬ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ভোট পড়বে ৪০ শতাংশের মতো। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।

শুক্রবার স্থানীয় সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা ১৭ ঘণ্টা। সব ব্যালট হাতে গণনা হবে তাই চূড়ান্ত ফলাফল আসতে লেগে যাবে তিনদিন। কোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।
বিপরীতে, উদারপন্থি হিম্মতি জয়ী হলে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে। অবশ্য, অনেকটা একতরফা হয়ে ওঠা নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই অনেক ইরানির।

সাড়ে আট কোটি মানুষের দেশ ইরানে এবার ভোটার প্রায় ৬ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ভোট পড়বে ৪০ শতাংশের মতো। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।

শুক্রবার স্থানীয় সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা ১৭ ঘণ্টা। সব ব্যালট হাতে গণনা হবে তাই চূড়ান্ত ফলাফল আসতে লেগে যাবে তিনদিন। কোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply