মহাশূন্যে শক্তির জানান দিতে বড় পদক্ষেপ চীনের

|

মহাশূন্যে নিজেদের শক্তির জানান দিতে আবারও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। নিজস্ব স্পেস স্টেশনে প্রথমবারের মতো নভোচারী পাঠালো দেশটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে লং মার্চ টু এফ ইয়াও-টুয়েলভ রকেটে চেপে গন্তব্যে পৌঁছায় শেনঝৌ-টুয়েলভ। পৃথিবী থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে তিয়ানহে মডিউলে তিন মাস কাটাবেন নভোচারীরা। মহাকাশে এটাই হবে চীনের নভোচারীদের দীর্ঘতম মিশন।

চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে তিন নভোচারীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে শেনঝৌ টুয়েলভ ক্যাপসুল। বাংলাদেশ সময় ৭ টা ২২ মিনিটে লং মার্চ টু এফ ইয়াও-টুয়েলভ রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয় এটি।

বেইজিং অ্যারোস্পেস কন্ট্রোল সেন্টার থেকে লাইভ ব্রডকাস্ট দেখেন সরকার ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। উৎক্ষেপণের ৫৭৩ সেকেন্ড পর রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয় মহাকাশযানটি। প্রবেশ করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে।

জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টারের পরিচালক ঝ্যাং ঝাইফেন জানান, লং মার্চ টু এফ ইয়াও-টুয়েলভ রকেট নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দিয়েছে শেনঝৌ-টুয়েলভ স্পেসক্রাফটকে। সোলার প্যানেল স্বাভাবিকভাবেই চালু হয়েছে এবং কাজ করছে। অর্থাৎ শেনঝৌ টুয়েলভ মিশন সফল ।

ক্রু-সহ সপ্তম মিশন হলেও নিজস্ব স্পেস স্টেশন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম মানুষবাহী ক্যাপসুল পাঠালো চীন। এখন পর্যন্ত নিরাপদে আছেন তিন নভোচারী হেইশেং, লিউ বোমিং ও টাং হোংবো। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২২.৫ টন ওজনের তিয়ানহে মডিউলে ৩ মাস কাটাবেন তারা।

চায়না অ্যাস্ট্রোনট এন্ড ট্রেইনিং সেন্টারের চিফ ডিজাইনার হুয়াং ওয়েইফেন বলেছেন, ৩ মাসের জন্য এটা আমাদের প্রথম মিশন। এর আগে একবার ৩৩ দিনের কর্মসূচি নেয়া হয়। এবার আরও উন্নত হয়েছে প্রযুক্তি। সরু ও বদ্ধ পরিবেশে নভোচারীদের এতদিন থাকতে হবে। ভরশূণ্যতাকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবে। এছাড়া ভাইব্রেশন ও অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দও থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে ছয়টি ক্রড মিশনে ১১ নভোচারীকে পাঠিয়েছে চীন। গত ছয় মাসে মঙ্গলে ছয় চাকার রোবট পাঠানো, চাঁদ থেকে পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহের মতো বেশ কয়েকটি জটিল মিশনে সাফল্য পায় দেশটি। পরবর্তী লক্ষ্য নভোচারীদের ছয় মাসের সফর।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply