প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ব্যাপক আলোচনায় থাকা শিক্ষা অধিদফতর ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন কার্যালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ উপপরিদর্শক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এটিএম মঈনুল হোসেন, মাউশির পরিচালক ড. মো. সেলিম।
আজ বৃহস্পতিবার সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা তুল জান্নাতের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়— বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) এসব কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি করা হলো।
অপর এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) খুলনা অঞ্চলের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেনকে বদলি করে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বদলির আদেশ দেয়া প্রজ্ঞাপন বদলির আদেশ দেয়া প্রজ্ঞাপন বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, খুলনা, যশোর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, জয়পুরহাট, ফেনী, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, ভোলা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুরের বিভিন্ন কলেজে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির দুই কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার ও ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর মন্ত্রণালয়, মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডে বদলি আতঙ্ক শুরু হয়।
অভিযোগ ওঠে, বদলি হওয়া শিক্ষা ক্যাডারের এসব কর্মকর্তারা সরকারি কলেজে ক্লাসে পড়াতে আগ্রহী নন। তারা প্রশাসনিক পদে থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে দীর্ঘদিন ধরে এসব পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। চাকরিবিধি অনুযায়ী এক পদে তিন বছরের বেশি থাকার বিধান না থাকলেও এসব কর্মকর্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পাঁচ থেকে ১২ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। একই পদে বহাল থাকার জন্য পদোন্নতি পর্যন্ত নেননি অনেক কর্মকর্তা।
Leave a reply