দুদকের মামলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলুসহ চারজনকে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. গোলাম মর্তুজা মজুমদার তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুয়া ১২ প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হচ্ছেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্যসহকারী ছাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা। আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুদক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মন্ডল বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ টাকা করেছেন। জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়। মেয়র থাকাকালে পাপলুর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল। ২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথক তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা বিল উঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির এবং মাস্টার রোলে শ্রমিকদের নাম-ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কর্মচারী (সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক) দুলাল আহমদের নামে দুটি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
দুলাল জানান, তার স্বাক্ষর জাল করে সাবেক মেয়র এই টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি এসবের কিছুই জানেন না। এছাড়া পৌরসভার বিলবোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
২০১৬ সালে মেয়রসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে।
Leave a reply