সিলেটের ওসমানীনগরে নিজ বাসা থেকে এক স্কুল শিক্ষকের ক্ষতবিক্ষত ও কাজের ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১২টার দিকে বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্কুলশিক্ষক ওই নারীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ। ঘটনার মোটিভ জানতে চলছে তদন্ত।
ওসমানীনগরের সোয়ারগাঁও এলাকায়, চিকিৎসক স্বামী বিজয় ভূষণ দে আর ছেলে তন্ময়কে নিয়ে থাকতেন তপতি চৌধুরী। সোয়ারগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে যান বিজয় ভূষণ ও তন্ময়। এসময় তপতি চৌধুরীর সাথে বাড়িতে ছিলো কেবল কাজের ছেলে গৌরাঙ্গ।
নিহতের ছেলে তন্ময় জানান, রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে মূল ফটকে তালা দেখতে পান তিনি। অনেকক্ষণ কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে পরে খবর দেন পুলিশে।
পুলিশ বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। পঞ্চাশোর্ধ স্কুল শিক্ষকের মরদেহ ছিলো ক্ষতবিক্ষত আর ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিলো ৩০ বছর বয়সী গৌরাঙ্গ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে তপতি চৌধুরীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে গৌরাঙ্গ, এমনটিই জানাচ্ছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply