মহান আল্লাহর দরবারে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ; এক পোশাকে, বিশ্বের নানা প্রান্তের, নানা বর্ণের মানুষের মিলনমেলার অনন্য উদাহরণ-আরাফাতের ময়দান। লাখো মুসল্লির কন্ঠে একই উচ্চারণ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।’
পাঁচ দিনব্যাপী হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় আরাফাতের ময়দানে। পাহাড়ের পাদদেশ কিংবা সুবিধাজনক জায়গায় বসে সবার প্রার্থনা, পরম করুণাময়ের দরবারে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায়, মসজিদে নামিরায়, হজের খুৎবা শুরু করেন কাবা শরিফের ইমাম, আবদুর রহমান আল সুদাইস। টানা ৩৫ বছর খুতবা পাঠ করা, সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল শেখ এবার, মুসল্লিদের কাতারে। খুতবায়, বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য কামনা করা হয়।
খুতবায় কাবা শরিফের ইমাম আবদুর রহমান আল সুদাইস বলেন, সন্ত্রাসবাদকে নির্দিষ্ট কোন ধর্ম বা দেশের সাথে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এর সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন সম্পর্ক নেই। মানুষকে দ্বীনের পথে আনতে হবে সুন্দর হৃদয় দিয়ে, বলপ্রয়োগ করে ধর্ম প্রচার করা যাবে না। ইসলামের এ শিক্ষা বাস্তবায়নে, ইমাম বা আলেমদের দায়িত্ব অনেক বেশি।
খুতবা শেষে, জোহর আর আসরের নামাজ একসাথে আদায় করেন হাজীরা। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় জমায়েতে, এ বছর যোগ দেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লির। যাদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন, ১ লাখ ২ হাজার।
আরাফাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে, হাজীরা গেছেন মুজদালিফায়। সোমবার সকালে মিনায় ফিরে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর পশু কোরবানি দিয়ে, তাওয়াফ করবেন কাবা ঘর।
Leave a reply