ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাঝেমাঝে কিছুটা কমলেও পরে তা আবার বেড়ে যায়। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ এতে জড়িত আছেন হাসপাতালের ভেতরের কেউ।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানায়, দালালরা মূলত রোগী বা স্বজনদের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা বলে প্রভাবিত করে বলে। অব্যবস্থাপনার অজুহাতে নিয়ে যায় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রাখা হয় অতিরিক্ত টাকা। এছাড়াও তারা ধারণা করেছে, দালাল চক্রের সাথে যোগসাজশ রয়েছে হাসপাতালেরই কিছু কর্মচারীর।
সবশেষ অভিযানে ধরা পড়া ছয় দালালের প্রত্যেককে দেয়া হয় এক সপ্তাহ করে কারাদণ্ড।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্য জানায়, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেনারেল হাসপাতালে এসেছি। এখানে ৬ জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফখরুল আলম আশেক জানায়, যদি প্রায়ই এমন অভিযান চালানো হয় তাহলে দালালদের উৎপাত কমে যাবে। এছাড়াও জানায়, জনসাধারণদের কেউ যদি দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকেন তাহলে আমার শরণাপন্ন হবেন। আমি সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করবো।
Leave a reply