ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। কারণ পরমাণু চুক্তি থেকে তারাই একতরফা নাম প্রত্যাহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি।
তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ থাকলেও সম্ভাবনা নেই জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাতের।
গেলো সপ্তাহের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। স্পষ্টভাবে জানান দেন- মার্কিন নীতিতে তার সরকার থাকবে কঠোর অবস্থানে। ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর দোদুল্যমান অবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন ৬০ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।
ইব্রাহিম রইসি বলেন, ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা সরাতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, সমঝোতা-স্বাক্ষরের পরও যারা চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে তারা কীভাবে নতুন শর্ত আরোপ করেন? তবে যে সমঝোতায় ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হবে, তাকে অবশ্যই সমর্থন করবো। কিন্তু তার ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতি এবং ইরানিদের জীবনমান নির্ধারিত হবে না। আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে ইস্যুও আলোচনার ঊর্ধ্বে।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে সমঝোতা এবং সম্পর্ক পুনঃ নবায়নে কোনো বাধা নেই। তবে ইরানের তরফ থেকে রিয়াদে দূতাবাস পুনরায় খোলার ব্যাপারে কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রত্যাশা- শিগগিরই সেগুলোর সমাধান আসবে। তার আগে ইয়েমেনের নিরীহ মানুষদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে রিয়াদকে।
কট্টর রক্ষণশীল ইব্রাহিম রইসি আগামী আগস্টে বুঝে নিবেন ইরানি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। তিনিই হবেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান, যে মসনদে বসার আগে থেকেই ছিলেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তালিকায়। ১৯৮৮ সালে তার নেতৃত্বাধীন বিচারক কমিটি কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো।
ইউএইচ/
Leave a reply