Site icon Jamuna Television

সিনোভ্যাক নিয়ে দ্বিধায় সিঙ্গাপুর

চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাক নিয়ে এবার আপত্তি উঠেছে সিঙ্গাপুরে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসেছে যে, সিনোভ্যাকের তৈরি করা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সিঙ্গাপুরের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

ইন্দোনেশিয়ার করোনা সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কেনেথ ম্যাক জানিয়েছেন, সিনোভ্যাক পাওয়ার পরও যেভাবে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। টিকার কার্যকারিতা উল্লেখজনকভাবে হেরফের হয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্যের পরও সিঙ্গাপুরে চীনের তৈরি করোনা টিকা প্রদানের কাজ চলছে।

গত মাসে সিনোভ্যাক-করোনাভ্যাককে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যে টিকার তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালে ৫০ থেকে ৮৪ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগেই ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, চীনের তৈরি টিকা নেয়ার পর ৩৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে অধিক সংক্রামক করোনা প্রজাতির বিরুদ্ধে সিনোভ্যাক কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

ইন্দোনেশিয়ার জাভার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর কোনো উপসর্গ ছিল না। কিন্তু তীব্র জ্বর এবং অক্সিজেন পরিমাণ কমবেশী হওয়ায় ১২ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ইন্দোনেশিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের অধিকাংশ কর্মীকেই সিনোভ্যাকের টিকা দেয়া হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ জানান, কুদুসে ডেল্টা প্রজাতির ফলে করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। তার ফলে আগের থেকে সংক্রমণের মাত্রা স্বভাবতই বেশি থাকবে। তাছাড়া সিনোভ্যাক্সের করোনা টিকা ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে উপযুক্ত তথ্যও গবেষকদের হাতে নেই।

Exit mobile version