মাদ্রাসার জন্য নির্ধারিত জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে একতলা ভবন। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান হয়না বরং এর পুরোটাই মার্কেট। অথচ নতুন ভবনে ক্লাস হবে সেই স্বপ্ন দেখিয়ে ৭ বছর আগে টিনের চালাঘরে চলা মাদরাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনটা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সমেশপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায়। অভিযোগ মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ নানা উপায়ে মাদ্রাসার অর্থ পকেটে ভরছেন।
একতলা ভবনের পুরোটাই মার্কেট। অথচ এখানে থাকার কথা শ্রেণিকক্ষ; পড়ালেখা করার কথা বেলকুচির সমেশপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের।
পরিসর বাড়ানোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন তো হয়নি, উল্টো ৭ বছর ধরে বন্ধ মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম। ব্রিটিশ আমলে সমেশপুর বাজারে সরকারি জায়গায় টিনের চালাঘরে যাত্রা শুরু মাদরাসাটির। পরে স্থানীয়রা ৬৫ শতক জায়গা দান করেন। শিক্ষার্থী বাড়তে থাকায় সিদ্ধান্ত হয় তিন তলা ভবন নির্মাণের। এজন্য ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় ৪৫ শতক জায়গা। বরাদ্দ দেয়া হয় সরকারি আর স্থানীয়দের অনুদানের ২৮ লাখ টাকাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহম্মদ আকন্দ, মাদরাসা চালু না করে মার্কেট বানিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পকেটে পুরছেন।
এর আগে সরকারি যে জায়গায় মাদরাসা ভবন ছিলো তার পাশেই মার্কেট বানানোর চেষ্টা করেছিলেন গোলাম মোহম্মদ আকন্দ। যদিও সেই কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। তবে, মাদরাসার খরচ মেটানোর জন্য সরকারি জায়গায় যে ১২টি দোকান করা হয়েছিলো, তার ভাড়া আওয়ামী লীগ নেতার পকেটেই যায় বলে অভিযোগ।
Leave a reply