গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ সার্ভার তুলে নেয়া হচ্ছে

|

তৃণমূল থেকে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘ক্যাশ সার্ভার’ তুলে নেয়া হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি। তবে প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবার খরচ বৃদ্ধি পাবে। ভোগান্তিতে পড়বেন ইন্টারনেট গ্রাহকরা। সার্ভার সচল রাখতে, সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে আইএসপিএবি।

গ্রাহকরা ইউটিউব, গুগল কিংবা ফেসবুকে কোনো কনটেন্ট সার্চ করলে, তা এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান সার্ভারে কানেক্টেড হয়। এরপর ওই ডাটা লোকাল ক্যাশ সার্ভারে স্বয়ংক্রিভাবে মজুত হয়। এতে কেউ একই কনটেন্ট সার্চ করলে, লোকাল সার্ভার থেকেই ওই তথ্য খুব দ্রুত পেয়ে যায়। কিন্তু এক যুগ পর, ক্যাশ সার্ভারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন রাজধানীর বাইরের ইন্টারনেট গ্রাহকরা। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ন্যাশনওয়াইড আইএসপি এবং মোবাইল অপারেটর ছাড়া, সকল আইএসপির কাছে থাকা বৈশ্বিক এসব কোম্পানির ক্যাশ সার্ভার উঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। তবে প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়বেন তৃণমূলের ইন্টারনেট গ্রাহকরা।

আইএসপির কাছ থেকে ক্যাশ সার্ভার তুলে নেয়া হলে, রাজধানীর বাইরে ভাল মানের ইন্টারনেট সেবা মিলবে না-বিটিআরসিকে এমন কথা জানিয়েছে আইএসপি অপারেটররা। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি উঠেছে বলেও জানিয়েছেন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম।

টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে শৃঙ্খলা আনা, জাতীয় নিরাপত্তা, গ্রাহক সংখ্যা, মনিটরিং ব্যবস্থা বিবেচনায় বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। তবে বিকল্প হিসেবে আইআইজিগুলোকে ঢাকার বাইরে ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

তবে গ্রাহক স্বার্থে ক্যাশ সার্ভারগুলো সচল রাখতে সহযোগীতা চেয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে আইএসপি। আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জানান, ক্যাশ সার্ভার না থাকলে রাজধানীর বাইরের আইএসপিগুলোকে ফেসবুক, গুগল বা ইউটিউব থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যান্ডউইথ এনটিটিএনের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন করে নিয়ে যেতে হবে। এতে ইন্টানেটের খরচ বৃদ্ধি পাবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply