তপ্ত মরুর বুকে তৈরি হবে বিমানবন্দর। অসহনীয় তাপমাত্রা আর প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেই সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন মালির কিদাল অঞ্চলে সেই অবকাঠামো তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্ট ব্যানইঞ্জিনিয়ার সেভেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও আইইডিএফ আক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কাজ করছেন বাংলার অকুতোভয় দামাল সেনারা।
মালির কিদালের পরিবেশ, পরিস্থিতি আর যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে ঠাট্টা করে মানুষ এই অঞ্চলকে কিদাল প্যারাডাইজ বলে। মালির যে কয়টি অঞ্চলে শান্তিরক্ষী মিশনের কার্যক্রম চলমান তার মধ্যে কিদালেই মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। সাহারা মরুভূমির খুব কাছে হওয়ায় এখানকার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রির ওপরে। বিরূপ আবহাওয়া ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর আক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে মরুদ্যানের বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যানইঞ্জিনিয়ার সেভেন। বাংলাদেশি সেনারা এই মরুভূমিকেও সবুজ বাননোর প্রচেষ্টায় রোপন করেছেন গাছও। নিয়মিত পরিচর্যা করছেন সেগুলোর। পুরো মরু এলাকায় যেন একটুখানি সবুজ।
সব সংকটের সাথে মরু অঞ্চলে রয়েছে তীব্র পানির সংকট। দিনে প্রতিজনের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ১৫ লিটার পানি। এছাড়া নেটওয়ার্ক জটিলতা ও আবাসন সংকট জনিত সমস্যা তো রয়েছেই।
Leave a reply