বার্সেলোনার সাথে এ মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির চুক্তি। আর মাসেরও বাকি আছে কেবল দুটি দিন। আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা খেলতে ব্রাজিলে থাকা মেসি এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাই একটা প্রশ্ন এসেই যায় সামনে, দুদিনের মধ্যে কি সম্পন্ন হবে বার্সার সাথে মেসির চুক্তি?
তবে ধারণা করা হচ্ছে আরও দুই বছরের জন্য মেসির সাথে চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছে বার্সা। তবে সে জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়াও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্লাবটির জন্য।
মেসি চুক্তি নবায়নে সম্মত হলে বার্সাকে শুধু পারিশ্রমিক বাবদ বার্ষিক ন্যূনতম ২০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২ হাজার ২৩ কোটি টাকা) জোগাড় করতে হবে। ঋণের ভারে ন্যুব্জ হয়ে থাকা ক্লাবটির জন্য মেসিকে ধরে রাখাটা এত সহজও হয়তো হবে না। তার সাথে ক্লাবে এসেছেন আগুয়েরো, ডিপাইদের মতো আক্রমণভাগের তারকারা। লা লিগার বেতন কাঠামোর মধ্যে থেকে এই খেলোয়াড়দের একসাথে ধরে রাখাটা বার্সার জন্য বেশ কঠিনই বলা যায়।
তবে প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো কিছুদিন আগে তার ‘হিয়ার উই গো’ পডকাস্টে জানিয়েছিলেন, মেসির চুক্তি নবায়নে বার্সা সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী ছিল। আর হুয়ান লাপোর্তা বার্সার প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর মেসির সেখানেই থেকে যাওয়াটা রোমানোর ভাষায় নাকি স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ২৪ জুন মেসির জন্মদিনে রোমানো তার পডকাস্টে জানিয়েছিলেন, মেসির এজেন্ট, তার ভাই এবং তার বাবা বার্সেলোনায় থাকবেন জন্মদিন উদযাপন করতে। কিছু চূড়ান্ত বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। এটা একটু জটিল চুক্তিপত্র, যেখানে প্রচুর শর্ত রয়েছে। আমি যেটা জেনেছি, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিন এখনো চূড়ান্ত হয়নি, আমাদের এখনো অপেক্ষা করতে হবে। চুক্তিটা হবে দুই বছরের।
৩০ জুন বার্সার সাথে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এই দিন–তারিখ হিসাব করলে বার্সার হাতে সময় খুবই কম। এর আগে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, বার্সার সাথে চুক্তি নবায়ন না করলে ম্যানচেস্টার সিটি কিংবা পিএসজিতে যোগ দিতে পারেন মেসি। মেসির জন্য ব্ল্যাঙ্ক চেক বা অঢেল টাকার প্রস্তাব তো পুরনো খবর।
চুক্তি নবায়ন না হলে দুদিন পরেই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন এলএমটেন। ইউরোপের ক্লাবগুলো যখন ৩৪ বছর বয়সী একজন প্লেমেকারকে দলে ভেড়ানোর জন্য টাকার বস্তা নিয়ে প্রস্তুত থাকে সেখানে ফ্রি মেসিকে নেয়ার জন্য আগ্রহী ক্লাবের কোনো অভাব হয়তো হবে না। তবে বার্সা-মেসির বন্ধন ছিন্ন হলে তার প্রতিক্রিয়া এত সহজ ও ছোট হবার কথা না। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মেসি ও বার্সার অগণিত সমর্থকেরা বিশ্বের সেরা ফুটবলারটিকে তাদের প্রিয় ক্লাবেই দেখতে চায়। লাপোর্তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও ছিল মেসিকে ধরে রাখার আশ্বাস।
দেখা যাক, টিস্যু পেপারে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল যে ঐতিহাসিক যুগলবন্দী, তা কোনদিক মোড় নেয় আর দুদিন পর।
Leave a reply