রাজশাহী ব্যুরো:
করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুই শিশুর ছবি তাদের মায়েদের ব্যাকুলতাসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এক ছবিতে, হঠাৎ শ্বাস নিতে না পারা ২৩ দিন বয়সী এক শিশুকে তার মা প্রগাঢ় মমতায় মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দিতে দিতে হাসপাতালে আনতে দেখা যায়।
অন্য ছবিতে, ৪৫ দিনের করোনা পজেটিভ শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে তার মায়ের অসহায় প্রতীক্ষা দেখা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই শিশুই ভালো আছে। ২৩ দিন বয়সী শিশুর করোনা সংক্রমণ হয়নি। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলা গেছে। আর ৪৫ বছর বয়সী শিশুটি সবশেষ পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হয়েছে।
২৩ দিনের হাফসা কেমন আছে?
শনিবার দুপুর ১২টার কিছু পর রিকশায় করে অসুস্থ হাফসাকে হাসপাতালে আনেন তার বাবা-মা। মা রেশমা প্রাণপণে মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দিচ্ছিলেন। সেদিনই ছবিটি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।
চিকিৎসকরা জানান, হাফসার মা কৃত্রিমভাবে শ্বাস দিতে দিতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারপর হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। মায়ের বুদ্ধিমত্তা আর চিকিৎসক-নার্সদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে নতুন জীবন ফিরে পায় শিশুটি।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি জানান, শিশুটিকে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন দিতে পারায় রেসপন্স করেছে। এক ঘণ্টার চিকিৎসার পর শিশুটি সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত শিশুটি ভাল আছে।
৪৫ দিনের আফরিনের বর্তমান অবস্থা:
সামাজিক মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত ৪৫ দিনের যে শিশুটির মা সহ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নেয়ার ছবি ভাইরাল হয়, তার নাম আফরিন। শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুটি এখন সুস্থ। করোনা নেগেটিভ আসায় তাকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, শনিবার শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। শিশুটিকে ১৬ নং করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয় শিশু আফরিনের। ২৪ ঘণ্টাতেই আফরিনের শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতি হয়। রোববার নমুনা পরীক্ষায় আফরিন ও তার মায়ের নেগেটিভ আসে। ফলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তার মা তাকে বাসায় নিয়ে গেছেন।
Leave a reply