কিরঘিজস্তানে খামারে স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় দুই খামারি শুরু করেছে ঝিঁঝিঁপোকার চাষ। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের পেছনে রয়েছে পোকাটিতে থাকা উচ্চমানের আমিষ, যা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য। এছাড়াও শরীর ফিট রাখতে বিশ্বজুড়ে চীন-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অ্যাথলেটদের মাঝে বাড়ছে এসব খাবারের চাহিদা
কিরঘিজস্তানের একটি খামারে স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় এসব ঝিঁঝিঁপোকা চাষ করছেন দুই খামারি।
খামারিরা বলছেন, ঝিঁঝিঁপোকায় রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন। এসব পোকা থেকে বিশেষ ধরনের পাউডার তৈরি করা হয়। সেগুলো বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা ব্যবহার করে থাকেন। শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে ঝিঝিপোকা থেকে তৈরি এই পাউডার বেশ উপযোগী বলে চীন এবং রাশিয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে।
ঝিঁঝিঁপোকা চাষি আদিল গ্যারাপভ জানান, অনেক গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এসব পোকার চাষ শুরু করি আমরা। পরিবেশ এবং মানবদেহের জন্য উপযোগী ঝিঁঝিঁপোকার চাষ করতে গিয়ে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
গ্যারাপভ আরও জানান, চীনে প্রতিবছর ৩০ হাজার টন পোকামাকড়ের চাহিদা রয়েছে। দেশটির ঘাটতি প্রায় ১০ হাজার টন। বাকি এই পোকামাকড়ের সবটাই আমদানি করতে হয়। সেই বাজারকে মাথায় রেখেই আমরা এই খামার করেছি। এরইমধ্যে চীন এবং রাশিয়ার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে ঝিঁঝিঁপোকার পাউডার কেনার জন্য। কিন্তু তাদের চাহিদা এতই বেশি যে আমরা সেগুলো সরবরাহ করতে পারছি না।
বর্তমানে এই খামারে ১ টনের বেশি ঝিঝি পোকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ৭৪ হাজার ডলার।
Leave a reply