সমালোচনা থাকলেও আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। বিনা প্রশ্নে নতুন অর্থবছরেও কালো টাকা সাদা করা যাবে। উৎপাদনশীল খাতে ১০ শতাংশ কর দিলেই সাদা করা যাবে এসব কালো টাকা। আর এর বাইরে আবাসন এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর। দুর্নীতি দমন কমিশন এই অর্থের উৎস জানতে চাইবে না।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এতে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ তাদের। তারা বলছেন, কালো টাকা উপার্জনের পথ রুদ্ধ করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় প্রয়োজন ।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বছরের পর বছর যখন এই সুবিধা দেওয়া হয় তখন এতে অর্থনৈতিক সুশাসন ব্যহত হয়। এটি যারা নিয়মিত ও বৈধ করদাতা তাদের প্রতি এক ধরণের অবিচার।
ডিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, এভাবে বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে এটি একটি নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করবে। অসৎ পথে যারা অর্থ আয় করে তারাও ভাববে যে আমিও তাহলে এভাবে আমার টাকা বৈধ করবো। এটির যেমন অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব আছে তেমনি সামাজিক একটি প্রভাবও আছে।
বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন ১০ হাজার ৪শ করদাতা। বেশিরভাগ কালো টাকাই সাদা করেছেন নগদে এবং আবাসন খাতে।
Leave a reply