সাকিবকে বাজে আচরণের রাজার তকমা ক্রিকইনফোর

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র মাসের আয়োজন দ্য ব্রিফিং এ ‘ব্যাড বিহেভিয়ার কিং’ বা বাজে আচরণের রাজার তকমা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। মূলত প্রিমিয়ার লিগের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে যুদ্ধংদেহী আচরণের জন্য আলোচনার শিরোনাম হয়েছিলেন সাকিব। তবে এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই, সিস্টেমের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ শুধু সাকিবই করেছেন । তাইতো সাকিব সবার থেকে আলাদা।

“আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল
স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।”

তিনি প্রতিবাদ করেন, প্রতিবাদ জানান। তার প্রতিবাদের ক্যানভাস কাগজের পাতায় নয় বরং খেলার মাঠে। প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে, জগতের সব প্রতিবাদের ভাষা নিয়েই তা থাকে। শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে কলম তুলে কারাগার বরণ করেছিলেন বিদ্রোহী কবি। আর অনিয়মকে লাথি মেরে বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ব্যাঙ্গ করে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্যাড বিহেভিয়ার কিং অর্থাৎ, বাজে আচরণের রাজা হিসেবে। নিজেদের মাসের আয়োজন দ্য ব্রিফিং এ ক্রিকেটারদের মধ্যে বাজে আচরণের চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হিসেবে তারা তকমা দিয়েছে সাকিবকে।

একই সাথে শ্রীলংকার তিন ক্রিকেটার কুশল মেন্ডিস, নিরোশান ডিকভেলা এবং নিরোশান গুনাথিলাকাকে আখ্যা দেয়া হয়েছে ‘বাজে আচরণ করা ভাই’ হিসেবে। ক’দিন আগেই জাতীয় দলের সিরিজের মাঝে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙেছিলেন এই তিনজন ক্রিকেটার।

মূলত প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই দফায় যুদ্ধংদেহী হওয়াতেই আলোচনায় আসেন সাকিব। প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে বিশ্বগণমাধ্যমে। যদিও কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, যুগ যুগ ধরে সিস্টেমকে পাল্টে দেয়া কোনো প্রতিবাদের ভাষা কখনই সুমধুর ছিল না, বরং ছিল কঠোর। যে সিস্টেমকে সাকিব লাথি মেরেছেন, সেই সিস্টেমের প্রতিবাদ সাকিবের আগে ক’জনই বা করেছেন, ক’জনই বা প্রশ্ন তুলেছেন?

প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে অবশ্য অনুতপ্ত সাকিব অল্প সময়ের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন সমর্থকদের কাছে। এমনকি মাঠেই নিজের অনুতপ্ততার কথা জানিয়েছেন সেই ম্যাচ সংশ্লিষ্ট আম্পায়ারের কাছে ।