পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পশুর হাট বসিয়ে নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করেছে স্থানীয়রা।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী এলাকায় বসেছিল পশুর হাট। পশুর হাটে ছিল না সামাজিক দূরত্ব, ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই।
সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পশুর হাট বসানোর খবর সংবাদকর্মীদের কাছে পেয়ে প্রশাসনের টনক নড়ে। এরপর বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে হাটটি বন্ধ করে দেয়। তবে এ সময় কাউকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি শুক্রবার তারা এখানে পশুর হাট বসিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পশুর হাট বসেছিল। তবে আজকে বৃষ্টি হওয়ায় পশুর পরিমাণ কিছুটা কম ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, প্রথমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গলাচিপা থানার ওসি ও গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে হাট বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারা সেখানে গিয়ে সবাইকে সরে যেতে বলছিলেন। কিন্তু ওসি সাহেব সেখান থেকে চলে আসার পর হাট করতে আসা লোকেরা আবার জড়ো হয়ে কেনাবেচা করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে আমি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং গলাচিপা থানার ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা গিয়ে বিকালে হাটটি গুঁড়িয়ে দিই।
আশিষ কুমার জানান, এসময় হাটের ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় তাদেরকে আটক বা জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। নির্দেশনা অমান্য করায় যারা জড়ো হয়েছিল তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, দেখেন নলুয়াবাগী স্থানটা অনেক দূরে। যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং একদম রিমোট এরিয়া। সেখানে যেতেও অনেক কষ্ট। তাছাড়া সামনে পবিত্র কোরবানি ঈদ। সে উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষজন এসেছিল পশু কিনতে। সেদিকটা মাথায় রেখে সবাইকে সরকারের এই নির্দেশনা মানার পরামর্শ দিয়ে সেখান থেকে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে এসেছি।
Leave a reply