কারাগারের অধীনে হাসপাতালে থাকা ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনের মোবাইল ফোন ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেয়ার ঘটনায় ৪ জন প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তারা ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্ব পালন করছিলো।
এদিকে এই ঘটনায় কারা অধিদফতর থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান ও মুন্সিগঞ্জের জেল সুপার নুরুন্নবী ভুইয়া এবং নারায়ণগঞ্জের জেলার শাহ রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
সম্প্রতি রফিকুল আমিন কারাগারে থেকে নতুন এমএলএম ব্যবসা করছেন এবং জুমে মিটিং করছেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। বিধি বহির্ভূত এ ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রফিকুল আমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন। ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় মোট ৫৩ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এবং দেশের বাইরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন রফিকুল আমিন। তবে, ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা বলে গত এপ্রিলে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।
Leave a reply