খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো কামাল ও রফিকুল। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত ২ টি বাস জব্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত কামাল পরিবহন শ্রমিক ও রফিকুল গদিমিস্ত্রি। দুজনই খাগড়াছড়ি জেলা শহরের উত্তরগঞ্জ পাড়া ও শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার রাতে টিভি দেখাকে কেন্দ্র করে মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয় কিশোরীর। পরে রাত ১০ টার পর বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে ঐ কিশোরী। পরে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এলাকাবাসী সূত্রে খবর পান যে তার মেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় আছে।
থানায় গিয়ে পরিবারের সদস্যরা কিশোরীর সাথে কথা বলে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। কিশোরী জানায়, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে পৌর বাস টার্মিনাল এলাকার বটগাছের নিচে পৌঁছালে আসামি রফিকুল জোরপূর্বক তাকে একটি বাসে উঠিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে পাশের কিরণ-বর্ণিতা নামে আরেকটি বাসের পাশে আশ্রয় নিলে কামাল নামের অপর আসামী তাকে জোরপূর্বক বাসে তুলে অপর আসামিসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোরে এলাকাবাসী বিপর্যস্ত অবস্থায় কিশোরীটিকে দেখতে পেয়ে থানায় যাওয়ার জন্য টমটমে তুলে দেয়।
পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ভোরে ১৪ বছরের এক কিশোরী সদর থানায় হাজির হয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণের কথা জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশিদ জানান, ভিক্টিমের ভাষ্য অনুযায়ী লুম্বিনি ও কিরন-বর্ণিতা নামে ২ টি লোকাল বাস থেকে কামাল ও রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসাথে বাস দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ভিক্টিমের পরিবারকে খবর দিলে তারা এসে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Leave a reply