মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত স্বামীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রহিমার ভাই রাজু আহমেদ বাদী হয়ে রবিবার বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী শিপন এবং তার মা আনুরি বেগমকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রহিমা বেগমের সাথে প্রায় তিন বছর আগে একই ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের শিপন আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের সমস্যা ছিল। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দফায় দফায় সমাধান করে দিলেও ঝগড়া লেগেই ছিলো। স্বামী ও তার স্বজনদের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাতমাস আগে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন রহিমা। এরপর সন্তানকে দেখার জন্য শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন রহিমার স্বামী শিপন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (০৩ জুলাই) সন্তানকে দেখতে এসে শিপন রাতে শ্বশুর বাড়িতে থেকে যান। ভোর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রহিমা বেগমের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় সে। আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসার জন্য সিলেট এবং পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো ফয়জুল ইসলাম জানান, রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের ৬৩ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। থানায় মামলা হয়ে এবং অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a reply