টাঙ্গাইলে রুপা নামে তরুণীর চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর খুন হওয়া নিয়ে দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন তোলপাড় চলছে, তখন বছরখানেক আগের একই রকম আরেক ঘটনায় অপরাধ স্বীকার করা আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। ওই ঘটনাও ঘটেছিলো একই এলাকায়, মধুপুড়ের গড়ে।
গত বছর ১ এপ্রিল টাঙ্গাইল থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে মধুপুর এলাকায় চলন্ত বাসে এক পোশাককর্মীকে গণধর্ষণ করে বাসের চালক ও তার সহকারীরা। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির একজন রেজাউল বুধবার জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছিল সে।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ‘বিনিময় সার্ভিসের’ চালক হাবিবুর রহমান, ভাড়া আদায়কারী রেজাউল করিম ওরফে জুয়েল ও চালকের সহকারী আবদুল খালেককে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে তিন আসামিই অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ তখন জানায়। একই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামি মো. আশরাফুল পলাতক রয়েছে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা তিন আসামি বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুল মান্নান ২ নম্বর আসামি রেজাউল করিম ওরফে জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি এ কে এম নাসিমুল আক্তার জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই পোশাকশ্রমিক ধনবাড়ীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের শফিপুরে তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে ভোর পাঁচটার দিকে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। ঢাকাগামী একটি বাসে ওঠার পর দেখতে পান আর কোনো যাত্রী নেই। বাসটি তাঁকে নিয়েই রওনা হয়। পথে আসামিরা তাকে ধর্ষণ করে। পরে মধুপুর সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ সড়কে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
/কিউএস
Leave a reply