বন্ধুকে নিয়ে হানিফ সংকেতের স্মৃতিচারণ

|

এন্ড্রু কিশোরের সমাধিতে হানিফ সংকেত।

বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের আজকের দিনে মরণব্যাধী কর্কটরোগের কাছে হার মেনে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই গায়ক। তার ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও এন্ড্রু কিশোরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত।

চার দশকের বন্ধুত্ব তাদের, একসাথে অনেক স্মৃতি। ঘটনাবহুল আর সমৃদ্ধ দুই বন্ধুর ক্যারিয়ার। কিন্তু আজ যেন দুজনের মাঝে এক আলোক বর্ষের সমান দূরত্ব। আজ মৃত্যু সীমার ওপারে থাকা বন্ধুকে ভেবে আরও কত স্মৃতি স্মরণে আসছে তা সঠিকভাবে হানিফ সংকেতই বলতে পারবেন।

বন্ধুর সমাধি থেকে ফিরে, কিশোরের ১ম প্রয়াণ দিবসে হানিফ সংকেত তার ফেইসবুক পেইজ লিখেছেন, দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেলো কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিলো বেশি। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ। এই গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি। গানের জন্যই মানুষ তাঁকে ভালোবাসতো। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত বছরের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর।

কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। সবসময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিলো তাঁর বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। এক সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, এক সঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিলো ইত্যাদি’র প্রায় নিয়মিত সংগীত শিল্পী। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে উঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিলো একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। কিশোর তাঁর গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু যেখানে থাকো ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply