জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ জামিন পাননি খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে বিচারিক আদালত থেকে নথি আসার পর জামিনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার দুপুর ২টার পরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
এজলাসে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শুনানি শুরু হতে কিছুটা সময় নেন আদালত। শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী। বয়স, অসুস্থতা, নারী ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় খালেদা জিয়ার জামিন চান তিনি।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নানা যুক্তি তুলে ধরে জামিনের বিরোধিতা করেন। জামিনের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়া যে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন এটা খুব বড় ব্যাপার।
খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। আবেদনে ৩১টি যুক্তি দেখিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়েছে।
Leave a reply