আহত রক্তাক্ত মেসি ছাড়েননি কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্র

|

কড়া ট্যাকলে মাঠেই রক্তাক্ত মেসি

ব্যথা ও যন্ত্রণার মুখেও হার না মানা মানসিকতায় যুদ্ধ চালিয়ে দেশকে ফাইনালে তুলে লিওনেল মেসি আবারও প্রমাণ করলেন তিনি কতভাবে বিশ্বসেরা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে বুধবার (৭ জুলাই) কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার ফ্রাঙ্ক ফাবরার কড়া ট্যাকলে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন মেসি। অ্যাঙ্কেলে আঘাত পান তিনি। রক্তক্ষরণও হয় সেখানে। কিন্তু খেলা থামাননি মেসি। দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌছে না দিয়ে বিশ্রামে যেতে চান না ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

আর্জেন্টিনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি তারা শুরুও করে দারুণভাবে। স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজের জন্য ডেডলক ভাঙার ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে দেন মেসি ৭ মিনিটেই। লক্ষ্যভেদে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আলবিসেলেস্তেদের এগিয়ে দেন লাউতারো। কিন্তু হাই প্রেসিং ও গতিময় ফুটবলে সমতাসূচক গোলও পেয়ে যায় কলম্বিয়া ৬১ মিনিটে। মেসির ইনজুরির মিনিটখানেক পরই কলম্বিয়ার পাল্টা আঘাতে ম্যাচে চলে আসে ভারসাম্য।

অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিতে রক্তাক্ত ও ভুগতে থাকা মেসিও হয়তো তাই মাঠেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে শুধু ফাবরার ট্যাকলই নয়, কলম্বিয়া যে মেসিকে ঠেকাতে কতোটা বেপরোয়া ছিল তা পরিষ্কার করতে একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট আর তা হলো, কলোম্বিয়ার পাওয়া ছয়টি হলুদ কার্ডের ছয়টি ফাউলই ছিল লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে।

লিয়ান্দ্রো পারেদেস কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, মেসির সাথে প্রয়োজন হলে যুদ্ধেও যাবো আমরা। অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মেসি এবার আহত অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করলেন না। ভারসাম্যপূর্ণ ম্যাচে ডি মারিয়া নামার পর তার সাথে শানিয়ে গেছেন একের পর এক আক্রমণ। আর শেষে টাইব্রেকারে স্নায়ুক্ষয়ী প্রথম শট নিতে এগিয়ে এসে মেসি জোরালো যে কামান দাগলেন গোলমুখে, তাতেও হয়তো টাইব্রেকারের নায়ক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ বার্তাটি পেয়ে থাকবেন, কোনো কিছুর বিনিময়ে পিছিয়ে আসার জন্য সেমিতে আসেনি ক্যাপ্টেন মেসির আর্জেন্টিনা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply