মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে তদন্তে নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক টিম। এর অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে মুন্সিগঞ্জ সদরের কালিরচর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করে একটি টিম। পরে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহবুব হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঘর নির্মাণ কাজে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স রয়েছে। এই করোনাকালীন সময়ে ১লাখ ১৮হাজার ৩শ ৮০টি ঘর নির্মাণ কম কথা নয়। সকল জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে আমরা মাঠে আছি আপনারাও মাঠে থাকুন। যাতে কোন জায়গায় কোন ত্রুটি বিচ্যুতি না থাকে। কোথাও তা পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ে যেনো তা সংশোধন করা হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প, স্বপ্নের প্রকল্প। একটি গরীব লোক যিনি ঘর পাচ্ছে তারতো স্বপ্নের শুরু মাত্র। তাই এই কাজে কোন অবহেলা করা হবে না, অবহেলা সহ্যও করা হবে না।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আমাদের প্রকল্প অফিস থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া ছিল এই মূহর্তে ঘর নির্মাণ করা যাবে এমন খাস জমি পেলে ঘর নির্মাণ করতে হবে। আমরা কাউকে বলিনি নদীর পাড়ে, খালের পাড়ে, মাটি ভরাট করে এখনই করো। ত্রুটি বিচ্যুতি দু-একটি হয়ে থাকলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ এ অনিয়মের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণের বাইরে কেউ নেই। সরকারি টাকা অপচয় হোক বা জলে যাক তা আমরা চাইনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতার আহ্বানে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এই ঘর নির্মাণের কাজ একইভাবে হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি না কোন ত্রুটি বিচ্যুতি হইক, এটি কাম্য নয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, তথ্য দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। কারণ আপনাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যই আমি লিখি ও তদন্তে পাঠাই৷ তাই আমি আশা করবো তথ্য দেয়ার বেলায় যেনো সঠিক তথ্যটি দেয়া হয়।
পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ এর উপ-পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসূল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হামিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মুন্সিগঞ্জের কালিরচরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২০০ টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। সম্প্রতি নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। অনিয়মের অভিযোগে এরমধ্যেই মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড সহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।
Leave a reply