ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল অস্ত্রোপচার করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ওই ডাক্তার তার বাম পাশের কিডনির পাথর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে গিয়ে ডান পাশও কেটে ফেলেছেন।
শফিকুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট। ভুক্তভোগী রোগী আজিমুল খান (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, আজিমুলকে জেলা শহরের জেল রোডস্থ এক বেসরকারি হাসপাতালে ডা. শফিকুল ইসলামকে দেখানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান বাম কিডনিতে পাথর রয়েছে এবং অস্ত্রোপচার করে পাথর অপসারণ করতে হবে। অস্ত্রোপচারের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় আজিমুলের স্ত্রী তার স্বামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলে। পরে ১৯ জুন আজিমুলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৭ জুন আজিমুলের অস্ত্রোপচার করেন ডা. শফিকুল ইসলাম।
আজিমুলের স্ত্রী খালেদা বেগম জানান, ওই দিন সকাল ৮টার দিকে অস্ত্রোপচারের জন্য আজিমুলকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুপুর একটা বেজে গেলেও আজিমুলকে বের করা হয়নি। তখন আমরা ভাবি আজিমুল হয়তো ওটিতে মারা গেছেন। পরবর্তীতে ওটি থেকে বের হওয়ার পর আজিমুল জানায়, চিকিৎসক পাথর অপসারণের জন্য বাম পাশে না কেটে ডান পাশ কেটে ফেলেছিল। এরপর বাম পাশ কাটে।
ডান পাশ কাটার ব্যাপারে ডা. শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা। দুই পাশ কাটার জন্য আজিমুলের হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান খালেদা বেগম।
ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে দুপুরের পর একজন নারী ফোনটি রিসিভ করে। তিনি নিজেকে শফিকুল ইসলামের এটেনডেন্স দাবি করেন। তখন চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে চাইলে এখন ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে জানান আগামীকাল (শনিবার) রোগীর সাথে আমি কথা বলব। যেহেতু সে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। প্রয়োজনে আমার সাথে আরও ২/১ জন সহকর্মী নিয়ে যাব। যদি ওই চিকিৎসক দোষী হয় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a reply