অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ সচিব জিন্নাত রেহানাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলামকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. শরীফ এনামুল কবির ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ড. লুতফর রহমান।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম।
১৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ সচিব জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. ফারজানা ইসলামকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
আন্দোলনের মুখে সেসময়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ করলে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সিনেটে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং অধ্যাপক আমির হোসেনের প্যানেল গঠিত হয়। ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। আগামী ২ মার্চ তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply