আওয়ামী লীগ নেতার দখল আতঙ্কে আদাবরের ১০ পরিবার

|

আদাবর থানা। ছবি: সংগৃহীত।

জমি ও বাড়ি হারানোর ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করছে আদাবরের ১০টি পরিবার। এরই মধ্যে একটি পরিবারের জমি দখলও হয়ে গেছে। এসব জমি ও বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন মোল্লার বিরুদ্ধে।

বাড়ি দখল, হুমকি ও ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ইয়াসিন মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। আর নিরাপত্তা এবং বাড়ি রক্ষায় থানায় জিডি করেছে ৯টি পরিবার।

আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগে মামলা করেছে আদাবরের ১৭/এ বাড়ির মালিক আবুধাবী প্রবাসী সাহাবুদ্দিন মিয়ার পরিবার। জানা যায়, সাহাবুদ্দিন মিয়া ২০০৩ সালে প্রায় আট শতক জমি কেনেন জাহানার বেগমের কাছ থেকে। এরপরই সেমিপাকা দোতলা ঘর বানিয়ে ভাড়া দেন। নামজারি ও ১৮ বছর ধরে খাজনাসহ সব ধরণের সরকারি ফি জমা দিয়ে আসছেন তারা, আছে বৈধ কাগজপত্রও।

হঠাৎ করে এই জমির মালিকানা দাবি করেন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা। রোকেয়া বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে এই বাড়ি কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা বায়না করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

সাহাবুদ্দিন মিয়ার পরিবারের দাবি, গত ২৯ জুন রাতে ওই বাসার সব ভাড়াটিয়াকে মারধর করে বের করে দেয় ইয়াসিন মোল্লার লোকজন। পুরাতন সাইনবোর্ড ভেঙে লাগানো হয় নতুন সাইনবোর্ড। বাড়ির ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম বলেন, রাত ৮ টার দিকে প্রায় এক থেকে দেড়শ ছেলে জড়ো করে বাড়ি দখল করে নেয় ইয়াসিন মোল্লা।

পরে ওই বাসায় ভাড়াটিয়া সাজিয়ে আনা হয় ইয়াসিন মোল্লার অনুসারীদের। যারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসায় আছেন বলেও দাবি করেন। অথচ চেনেন না বাড়ির কেয়ারটেয়ারকে।

শুধু সাহাবুদ্দিন মিয়াই নয়, ইয়াসিন মোল্লার জমি দখলের হুমকিতে আতঙ্কে আছে আরও নয়টি পরিবার। নিরাপত্তা চেয়ে তাদের অনেকেই আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই প্রবাসী। জীবনের সবটুকু উপার্জিত অর্থ দিয়েই ২০ বছর আগে জলাবদ্ধ জমি কিনেছিলেন তারা। এখন শেষ সম্বলটুকু হারানোর ভয়ে দিন পারছেন করছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলে দেখা করেননি ইয়াসিন মোল্লা। টেলিফোনে নিজেকে ওই বাড়ির মালিক বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, এটি সাহাবুদ্দিন সাহেবের বাড়ি না। তার বাড়ি কোথায় আছে তা তিনি জানেন।

এ ঘটনায় আদাবর থানার কর্মকর্তারা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply