বাড়ির ছাদে পালন করা হয় কোরবানির পশু। আর ঈদুল আজহার আগ-মুহুর্তে ছাদ থেকে পশুগুলো নামাতে ব্যবহার করা হয় ক্রেন। বিস্ময়কর শোনালেও পাকিস্তানের করাচিতে ঘটনাটি বেশ স্বাভাবিক। মূলত, করাচিতে কোরবানির উদ্দেশ্যে এমন অদ্ভুত খামার গড়ে তোলা হয়।
মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক মাঠের গরু ছাদে কেনো? বিষয়টি আর কিছু নয়, জায়গা সংকটে করাচিতে পুরোদস্তুর খামার বানানো বেশ ব্যয়বহুল। দেড় দশক আগে শহরটিতে শুরু হয় ছাদে গবাদিপশু পালন। বর্তমানে যার কলেবর বেড়েছে বহুগুণ। বিশালাকার গরুগুলো সঠিকভাবে নামাতে রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্রেনচালকও।
করাচির এক বাড়ির ছাদে গবাদিপশু পালন করা সৈয়দ এজাজ হাসান জানান, বাছুরগুলোকে সিড়ি দিয়ে হাটিয়েই ভবনের ছাদে তুলেছিলাম। ঈদের আগ পর্যন্ত আমি এবং পরিবারের সদস্যরা পশুগুলোর যত্ন নেই। তাই, কোরবানির সময় মোটাতাজা গরুদের ক্রেন ছাড়া নামানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কোরাবনির আগে ক্রেনে করে গরু নামানোর এমন দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় বাচ্চারা। তাদের কাছে ছাদ থেকে ক্রেনের মাধ্যমে গরু নামানোর ঘটনা বেশ বিরল আর বিস্ময়কর। এতে, ছোট শিশুরা সবচেয়ে বেশি অবাক হয়।
কোরবানির পশু হিসেবে পাকিস্তানিদের প্রথম পছন্দ ছাগল এবং দুম্বা। তবে, সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে গরুর চাহিদাও। গেলো বছর ঈদুল আজহায় দেশটিতে এক কোটির বেশি পশু কোরবানি করা হয়। তবে, ধারণা করা হচ্ছে করোনা মহামারি চলাকালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে।
Leave a reply