বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে তৈরি হাসপাতালে বাতি কেনায় দুর্নীতি

|

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের বাতি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে তৈরি শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের বাতি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ১৫ ওয়াট বাথরুম লাইট কেনা হয়েছে ৩৮৪৩ টাকায়। ১৮ ওয়াটের সারফেস ডাউন লাইট কেনা হয়েছে ৩৭৫১ টাকায়। এমন ২৪ ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

নির্মাণাধীন সরকারি হাসপাতালে এমন দরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের প্রতিষ্ঠান, ‘কসমো লাইটিং’।

পিডাব্লিউডির তালিকাভুক্ত না হলেও এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাপেই কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে সুপারিশের কথা অস্বীকার করেছে এইচইডি। মোট দরের ওপর পরে ছাড় দেয়া হয়েছে দাবি কসমোর।

দরপত্রে একটি ১৫ ওয়াটের বাথরুম লাইটের দাম ধরা হয়েছে ৩৮৪৩ টাকা। একটি ১৮ ওয়াট সারফেস ডাউন লাইট ৩৭৫১ টাকা, এলইডি ওয়াল স্পট লাইট ১৫৫০ টাকা।

ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দরপত্রে উল্লেখিত এসব পণ্যের বেশিরভাগের খুচরা দাম অর্ধেকের কম। কোনটি প্রস্তাবিত দরের এক তৃতীয়াংশ। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত দর কসমো থেকে কম। কসমো যে বাথরুম লাইটের দাম দিয়েছে ৩৮৪৩ টাকা আরেক প্রতিষ্ঠান তা প্রস্তাব করেছে ৭১৫ টাকা।

এসব বৈদ্যুতিক পণের অস্বাভাবিক দাম তো পরের ব্যাপার, গণপূর্ত অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো যে ফিটিংসহ এসব সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য পিডাব্লিউডির তালিকাভুক্তই নয় বিডি থাই কসমো নামক প্রতিষ্ঠানটি। তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করলেও এখনও অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াই শেষ হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। এরপরও কসমোকেই কাজ দেয় মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন।

সরাসরি কথা বলতে না চাইলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা টেলিফোনে জানান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিলেকশনেই হয়েছে সব।

স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো নির্মাণ তদারকি প্রতিষ্ঠান এইচইডি। কসমোর হয়ে সুপারিশের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী। এদিকে বিডি থাই কসমো এর মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে রায়ান হামিদ বলেন, নিয়ম মেনেই সব হয়েছে। তার কোম্পানিটি পিডাব্লিউডি’র তালিকাভুক্ত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ঠিকাদারি পাবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত দর কসমো’র থেকে কম ছিলো। কসমো যে বাথরুম লাইটের দাম দিয়েছে ৩৮৪৩ টাকা আরেক প্রতিষ্ঠান তা প্রস্তাব করেছে মাত্র ৭১৫ টাকায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply