তিন দশক পর ‘ওয়েট ব্লু’ চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ২০ লাখ বর্গফুট করে মোট ১ কোটি বর্গফুট চামড়া রফতানি করতে পারবে। নৈরাজ্য ঠেকানো ও চামড়ার অপচয় রোধের উদ্দেশেই নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণের পর তৈরি হওয়া ‘ওয়েট ব্লু’ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজনীন পারভীন স্বাক্ষরিত আদেশে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে চামড়া রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো- কালাম ব্রাদার্স ট্যানারি, লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশ, আমিন ট্যানারি, কাদের লেদার ও এসকে ইনভেস্টমেন্ট। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রফতানি করতে পারবে মোট ১ কোটি বর্গফুট চামড়া।
কালাম ব্রাদার্সের পরিচালক সাজেদুল খায়ের কমল জানান, ঈদের পর রফতানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে বোঝা যাবে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর। তবে মাত্র পাঁচটি ট্যানারি দিয়ে পুরো দেশের চিত্র অনুমান করা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।
ইতোমধ্যে করোনা মহামারি কিছুটা সামলে উঠেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। হংকং, চীন, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশের বাজার ধরাই হবে লক্ষ্য। ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বললেন, এই উদ্যোগ সবসময় চালিয়ে নেয়া ঠিক হবে না। তিনি মনে করেন, এই উদ্যোগ দেশের চামড়া শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
দামের বিপর্যয় ঠেকাতে গেল বছর ঈদুল আযহার তিন দিন আগে ‘ওয়েট ব্লু’ রফতানি উন্মুক্ত করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে, রফতানির জন্য কাঁচা চামড়ার যে প্রক্রিয়াকরণ প্রয়োজন, তা সবার পক্ষেই করা সম্ভব হয়নি। তবে শুধু মানসম্পন্ন ওয়েট ব্লু রফতানি করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Leave a reply