নিষ্পাপ শিশুদের জন্য নরকে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার ঘৌতা। আসাদ সরকারের বাহিনীর বিমান হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে শহরের হাসপাতাল আর স্কুলগুলো। নির্বিচারে ব্যবহার করা হচ্ছে সারিন আর ক্লোরিন গ্যাস। চরম নির্মমতার শিকার হয়ে গেল ৭ দিনে ঘৌতায় প্রাণ গেছে প্রায় দেড়শ’ শিশুর।
একদিকে আহত শিশুদের আর্তনাদ, অন্যদিকে সন্তানহারা পিতার হাহাকারে ভারি দামেস্কের আকাশ-বাতাস। হাসপাতালগুলোতে আহত মানুষের চাপ; মর্গগুলোয় লাশের সারি।
গেল ৭ দিনের টানা বিমান হামলায় আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ঘৌতা শহরটি। গুঁড়িয়ে গেছে প্রায় সব স্থাপনা। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে, বাদ যায়নি স্কুল আর হাসপাতালও। ধ্বংসস্তুপ সরালেই বেরিয়ে আসছে মরদেহ; বেশিরভাগই শিশুদের।
শহরের ভুক্তভোগী একজন বলেন, শিশুরা বিদ্রোহীও না সন্ত্রাসীও না। বিশ্ব দেখছে কীভাবে আসাদ অভিযানের নামে কিভাবে শিশুদের হত্যা করছে।
আলেপ্পোর পর বিদ্রোহীদের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি ঘৌতা। তাদের দমনে চলা বিমান হামলায় গেল ৭ দিনে প্রাণ গেছে ৬০০ মানুষের। এদের মধ্যে প্রায় দেড়শই শিশু। স্কুল আর হাসপাতালগুলোতে হামলা হওয়ায় শিশু মৃত্যু বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস। বিশেষ করে সারিন এবং ক্লোরিন গ্যাসের মতো রাসায়নিক হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরাই।
রেডক্রস মুখপাত্র আয়োলান্দা জ্যাকোলাইট বলেন, একদিকে বোমা আর গ্যাস হামলা। অন্যদিকে, অবরুদ্ধ অবস্থা; সবমিলিয়ে ঘৌতার অবস্থা নরকতুল্য। যার ভয়াবহ মূল্য দিতে হচ্ছে শিশুদের। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে হাসপাতাল। যে কারণে চিকিৎসাও দেয়া যাচ্ছে না।
২০১১ সিরিয়া সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৪ লাখ মানুষের। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই শিশু। শরণার্থী অন্তত ২৩ লাখ আর অবরুদ্ধ শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। ২০১৬ সালের পর দেশটিতে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
Leave a reply