কেনিয়ায় করোনা চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য বিল, সহায়তা তুলে পরিশোধ!

|

করোনা চিকিৎসায় রোগীকে ৩৬ হাজার ডলারের বিল ধরিয়ে দিয়েছে কেনিয়ার একটি হাসপাতাল।

করোনা চিকিৎসায় রোগীকে ৩৬ হাজার ডলারের বিল ধরিয়ে দিয়েছে কেনিয়ার একটি হাসপাতাল। যা কেনিয়ান মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ শিলিং। হাসপাতালের বিল পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় রোগীর জন্য তোলা হয় সহায়তা। দরিদ্র দেশগুলোতে করোনা চিকিৎসায় সহায়তার জন্য বৈশ্বিক তহবিল গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহ হাসপাতালের বিছানায় থাকার পর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন গডফ্রে মৈথ্যা নামের এই ব্যক্তি। হাসপাতাল ছাড়ার আগে তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় প্রায় ৪০ লাখ কেনিয়ান শিলিং এর বিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০ লাখ টাকারও বেশি।

ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ভুক্তভোগী রোগী গডফ্রে মৈথ্যা জানান, হাসপাতালে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর আমার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। আমাকে দ্রুত হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিটে নেয় হয়। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠি। হাসপাতাল ছাড়ার সময় আমার হাতে প্রায় ৪ মিলিয়নের শিলিংয়ের বিল ধরিয়ে দেয়া হয়। যা পরিশোধ করতে এখন বন্ধু এবং স্বজনদের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে গীর্জা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হতো রোগীকে। এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা কি সবার পক্ষে নেয় সম্ভব? সেক্ষেত্রে উপায় কী? এমন প্রশ্নের সমাধানে ধনী দেশ গুলোর কাছ থেকে তহবিল বা ইনস্যুরেন্স গঠনের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

ইনল্যান্ড চার্চ প্রধান রবার্ট মুসিলি কাভিতি জানান, এক রোগীর জন্য ৩৯ লাখ কেনিয়ান শিলিং জোগাড় করেছি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে। তবে ক্যারেন হাসপাতালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। তবে এমন যদি ১০ জন রোগীর ক্ষেত্রে হয়, তখন কি করার? সংকট সমাধানে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই ভাবতে হবে।

কেনিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। সীমিত পরিসরে চলছে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply