আল-আকসা থেকে পিটিয়ে বের করে দেয়া হলো নামাজরত ফিলিস্তিনিদের

|

আল আকসা মসজিদ থেকে পিটিয়ে নামাজরত ফিলিস্তিনিদের বের করে দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।

ফের অস্থির আল-আকসা! গতকাল রোববার (১৮ জুলাই) নামাজরত মুসল্লিদের টেনে-হিঁচড়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। শুধু তাই নয়- বেধড়ক পেটানো হয় নারীদের। নীতিমালা ভঙ্গের অজুহাতে আটক হন অনেকে।

এমন উসকানিমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আল-আকসা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সাফাই ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং প্রার্থনায় বাধা দেয়া হচ্ছিলো ইহুদিদের।

নামাজ আদায়ের জন্যেই আল-আকসায় এসেছিলেন ফিলিস্তিনি নারীদের একটি দল। কিন্তু আল-আকসার দরজাই পেরোতে পারেননি; তার আগেই পড়েছেন ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে।

এদিন পর্দানশীন মুসলিম নারীদের হয়রানির পাশাপাশি মাটিতে ফেলে মারধরও করে ইহুদি সেনারা। রীতিমতো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করা হয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে। প্রতিবাদে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে, ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

আল-আকসা মসজিদের পরিচালক শেখ ওমর আল কিসওয়ানি বলেন, নিঃসন্দেহে এটা উসকানিমূলক আচরণ। নামাজরত ফিলিস্তিনিদের রীতিমতো টেনে-হিঁচড়ে আল-আকসা থেকে বের করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। অপমাণ ও হয়রানি করেছে নামাজ পড়তে আসা নারীদের। সেসময়ই মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে ১৩শ’র বেশি কট্টরপন্থী ইহুদি। ফিলিস্তিনিদের সাথে কোন্দল বাঁধাতেই এ অপচেষ্টা।

আগ্রাসনের ব্যাপারে অবশ্য উল্টো সুর ইসরায়েলি বাহিনীর। দাবি- ইহুদিদের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা তিশা-ভি-হাবে নাক গলাচ্ছিলো ফিলিস্তিনিরা। এসময় নাকি ফিলিস্তিনিরা বাধা দেয় ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং প্রার্থনায়।

গত মে মাসে জেরুজালেম এবং আল-আকসা এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অস্থিরতা। এক পর্যায়ে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হলে, টানা ১১ দিনের সেই সহিংসতায় প্রাণ হারান ২৫৬ ফিলিস্তিনি। মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্র বিরতি কার্যকর হলেও বারবারই নানা অজুহাতে সেটি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply