বেঁচে থাকাটাই যেন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘৌতাবাসীর কাছে। প্রতি মুহূর্তই বিভীষিকাময়। সরকারি বাহিনীর টানা বিমান হামলা বন্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাব আর রুশ অস্ত্রবিরতিতেও কাজ হয়নি। চলছে বোমা বর্ষণ। শহরটির পূর্বাঞ্চলে আসাদ বাহিনীর সবশেষ হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ৩০ জনের।
জাতিসংঘ এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, মঙ্গলবার যুদ্ধবিমান আর হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিচ জানিয়েছেন, প্রস্তাব পাশ আর অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ঘৌতায়। সরকারি বাহিনীর তরফ থেকে শুধু বিমান হামলাই নয় কামান থেকে ভারি গোলাবর্ষণও চলছে। হামলা অব্যাহত থাকায়, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
ঘৌতায় হত্যাযজ্ঞ শুরুর পর হামলা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললো আসাদ প্রশাসন। বেসামরিকদের ওপর বিমান হামলার ঘটনা অস্বীকার করে, দামেস্কের দাবি, ঘৌতা পরিস্থিতি নিয়ে নাটক সাজিয়েছে পশ্চিমা শক্তি।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ জানান, সরকারি বাহিনী অভিযান সন্ত্রাসী এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। যেভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয়। পশ্চিমা শক্তি রং চড়িয়ে এসব খবর প্রচার করছে।
এদিকে, সিরিয়ায় বেসামরিকের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে ধৈর্য্যের বাধ ভেঙেছে যুক্তরাজ্যেরও। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, নিরাপরাধ মানুষের ওপর রাসায়নিক হামলা হবে আর সভ্য দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য সেটা বসে বসে দেখবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। ঘৌতাসহ বিভিন্ন এলাকায় রাসায়নিক হামলার বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করতে হবে। প্রমাণ মিললে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আসাদবিরোধী অভিযানে ব্রিটেনও অংশ নেবো।
রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এখনই সংঘাত বন্ধ না হলে আর ভয়াবহ মানব বিপর্যয় ঘটবে ঘৌতায়।
Leave a reply