টোকিও অলিম্পিক ২০২০ থেকে প্রত্যাহার হলেন আলজেরিয়ান জুডো খেলোয়াড় ফেথি নুরিন ও তার কোচ বেন ইয়াকলিফ। জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়া অলিম্পিকে খেলতে এসেও দখলদার ইসরায়েলের কারণে সৃষ্ট মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের কথা ভেবে নুরিন তার ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছেন না দ্বিতীয় রাউন্ডে। ফলে শাস্তির সম্মুখীন হচ্ছেন আলজেরিয়ান এই অ্যাথলেট ও তার কোচ।
অলিম্পিকের প্রথম রাউন্ডে জুডোর ৭৩ কেজি ক্যাটাগরিতে আলজেরিয়ান ফেথি নুরিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন সুদানের মোহামেদ আবদাল রাসুল। ১ম ম্যাচে জয়লাভ করায় পরের রাউন্ডে নুরিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন ইসরায়েলের তোহার বাটবাল। কিন্তু ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি না হয়ে বরং টোকিও অলিম্পিক থেকেই সরে দাঁড়ালেন নুরিন। ইতোমধ্যে নুরিনের এমন সিদ্ধান্তের শাস্তিও পেয়েছেন তিনি ও তার কোচ আমের বেন ইয়াকলিফ। অলিম্পিক থেকে প্রত্যাহার করে তাদের দুজনকেই আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে খুব শীঘ্রই।
এদিকে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নুরিনের এমন সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের দর্শনের পরিপন্থী। আইজেএফ সব সময় বৈষম্যহীন নীতি মেনে চলে। আমাদের লক্ষ্য জুডোর মূল্যবোধের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংহতি বাড়ানো। এই খেলার অন্যতম মূল ভিত্তি হলো পারস্পারিক সম্মানবোধ ও বন্ধুত্ব।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবর, সকল ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে নিষিদ্ধ হওয়া ছাড়াও আরও বড় শাস্তি পেতে পারেন নুরিন ও তার কোচ। এদিকে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন নুরিন ও তার কোচকে নিষিদ্ধ করার পর আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটিও তাদের অ্যাক্রিডেটেশন প্রত্যাহার করে নিয়েছে টোকিও অলিম্পিক থেকে।
আলজেরিয়ান একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নুরিন বলেন, অলিম্পিকে আসতে অনেক কষ্ট করেছি, কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়টি কষ্ট-পরিশ্রমের চেয়েও অনেক বড়। এটিই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
নুরিনের এভাবে ইন্টারন্যাশনাল কোনো ইভেন্ট থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ এ অনুষ্ঠিত বিশ্ব জুডো চ্যাম্পিয়নশিপেও এর আগে বাটবালের সঙ্গে ম্যাচ পড়েছিল নুরিনের। সেবারও প্রতিযোগীতা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।
Leave a reply