স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার মদনে উপজেলায় হত্যা মামলার আসামি আব্দুল গণি বিচুকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার তিয়শ্রী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল গণি বিচু উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের মৃত মনসুর তালুকদারের ছেলে।
এ সময় হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা বালালী গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে ধনাই (৩২), একই গ্রামের সঞ্জু মিয়ার ছেলে আশাদুল (২৫) ও জবশেদ মিয়ার ছেলে রফিকুল (২৫)কে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলার আসামি আব্দুল গণি বিচু আদালত থেকে জামিন নিয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামের আত্মীয় বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। শনিবার বিকেলে সপ্তাহিক হাটের দিনে আব্দুল গণি বিচু তিয়শ্রী বাজারে আসেন। এ সময় বাজারের আওয়াল মিয়ার দোকানে সিঙ্গারা পুড়ি খাইতে বসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। স্থানীয় লোকজন হামলাকারী ৩ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০২০ সালের ৮ জুন বালালী গ্রামের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় আব্দুল গণি বিচু মিয়ার লোকজন। হামলায় রিয়াজ উদ্দিনের বৃদ্ধা মা আহত হয়। ২০২০ সালের ১৩ জুন আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে গেলে বালালী গ্রামের সবুজ তালুকদারের ছেলে সুমন (২৫) কে হাসপাতালে কুপিয়ে আহত করে আব্দুল গণি বিচুর লোকজন। পরে ওই দিন বিকালেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমন মারা যান। ওই রাতেই সুমনের ভাই পলাশ মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল গণি বিচুকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আব্দুল গণি বিচু আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মীয় বাড়ি মাখনা গ্রামে বসবাস করছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী সার্কেল) রাজন কুমার দাস বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল গণি বিচু নামের এক হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে প্রেরণ করা হবে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ৩ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের কে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply