মন্দিরের ভেতরে লাইন দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে শিশু-কিশোরদেরকে। সংখ্যায় কয়েকশো হবে হয়তো। খালিয়ে গায়ে শুয়ে থাকা কিশোরদের শুধু কোমরে একটি সাদা কাপড় প্যাচানো আছে। এভাবে শুয়ে থাকতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এরপর যখন মন্দির কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা হবে তখন একেকজনকে ডেকে নেবে। এবং একটি আসনে বসিয়ে কয়েকজন ধরে রেখে তার হাতে বা শরীরের অন্য কোনো অংশে লোহার হুক ঢুকিয়ে ছিদ্র করে দেবে।
ভারতের কেরালা রাজ্যের এক মন্দিরে বহুদিন ধরে চলছে এই অনুশীলন। কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি এই খবর দিয়েছে।
ছিদ্র করার পর অনেক ছেলেকে দিনের পর দিন সেই ব্যথা বহন করে চলতে হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি নিজের পরিচিত এক কিশোরের এমন অবস্থা দেখে পুরো ঘটনা জানতে পারেন স্থানীয় এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা। এরপরই তিনি সামাজিক মাধ্যমে সরব হোন এই অনুশীলনের বিরুদ্ধে।
শ্রীলেখা রাধাম্মা নামের ওই কর্তকর্তা গত মঙ্গলবার তার এক ব্লগ পোস্টে লেখেন, ‘এটি অত্যন্ত মারাত্মক একটি শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন।’ তিনি আরও জানান, ভারতীয় ফৌজদারী আইনে শিশু-কিশোরদের ওপর এমন আচরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, জীবনে একবার এভাবে শরীরের কোথাও ছিদ্র করলে ওই ছেলেকে ‘আর কোনো ধরনের কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না’। তারা কাউকে জোর করে ছিদ্র করেন না জানিয়ে মন্দিরের প্রধান কর্মকর্তা পিল্লাই বলেন, বছরে একবার টানা সাতদিনের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Leave a reply