কুমিল্লা ব্যুরো:
গত ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম এবং স্থায়ীভাবে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল করা এবং ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো নিষিদ্ধ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকালে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনকে তিন বছরের জন্য, নয়জনকে দুই বছরের জন্য এবং ১৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া আরও ১৮ জনকে অভিভাবকের মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাওয়াত আররাজ, পঞ্চম বর্ষের হাসিবুল হক ওরফে অর্ণব, একই বর্ষের শেখ আসিফ মাহমুদ।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন পঞ্চম বর্ষের মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান, কাজী জুয়েল, মো. রাব্বী হোসেন, পঞ্চম বর্ষের (পুরোনো) মো. রিয়াদ হোসেন, পলাশ সরকার, দ্বিতীয় বর্ষের মো. ফয়সাল আমিন, পিয়াল দেব চৌধুরী, নিতাই চন্দ্র সূত্রধর ও জয়দীপ চৌধুরী।
এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে পঞ্চম বর্ষের দীপ্ত দত্ত, স্বপন কান্তি দাশ, চতুর্থ বর্ষের সাখাওয়াত হোসেন, পঞ্চম বর্ষের সাব্বির মাহমুদ, আরিফুল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষের শাহ মুহাম্মদ নাজমুচ সাকিব, দ্বিতীয় বর্ষের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মাসুদ, তৃতীয় বর্ষের দেবজিৎ ঘোষ, চতুর্থ বর্ষের সৌমিত্র আচার্য্য, পঞ্চম বর্ষের মো. মাহির হোসেন, তৃতীয় বর্ষের মো. রায়হানুজ্জামান, মাশরুখ আরাফাত রিসান, পঞ্চম বর্ষের তানভীর জামান ও মো. মিজানুর রহমানকে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২১ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল হান্নানের অনুসারী। অপর পাঁচজন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও অষ্টম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের (পলাশ) অনুসারী।
কলেজের উপাধ্যক্ষ্য ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া বলেছেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে একাডেমিক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
৪ জানুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেডিকেল কলেজে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন।
Leave a reply