চীনের হেনান প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে শহরে পাড়ি জমানো শ্রমিকরা। অনেকে হারিয়ে ফেলেছেন শেষ সম্বলটুকুও। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জীবনের সব সঞ্চয়। বেশির ভাগেরই নেই মাথা গোজার ঠাঁই। কোনমতে পরিবারসহ শপিং মল বা উঁচু কোন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন এসব শ্রমিকরা।
পৈতৃক ভিটেমাটি ছেড়ে একটু ভালো থাকার আশায় এসব শ্রমিক বেছে নিয়েছিলেন শহুরে জীবন। কিন্তু হেনানের প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝৌতে কয়েক দিনের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছে অনেকে স্বপ্ন।
বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় এখন মাথা গোজার ঠাঁই পর্যন্ত মিলছে না গ্রাম থেকে আসা এসব কর্মীদের। শহরে ভয়াল বন্যায় দিশেহারা এই মানুষগুলো গ্রামেও ফিরতে পারছেন না জীবন জীবিকার শক্ত ভিত না থাকায়।
এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরের সব ফার্নিচার। জানি না এখন কোথায় থাকবো, কি করবো। কিছুই মাথায় আসছে না।
অন্য আরেকজন জানান, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। রাতে ঘুমতেও ভয় পাচ্ছি। মনে হচ্ছে যদি ঘুমের মধ্যে ভেঙে পড়ে ভবন।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা থেকে বাদ যাননি ব্যবসায়ীরাও। এই যেমন ঝু লিয়ান, সঞ্চয় করা ৩১ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়। এখন তা পানির নীচে।
চীনের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ঝু লিয়ান বলেন, সব সময় প্রার্থনা করছি আর যেন বৃষ্টি না হয়। কারণ জীবনের সব অর্জন দিয়ে এই রেস্টুরেন্টটি করেছিলাম। এখন পথে বসার উপক্রম। পরিবারে মাত্র একজনের উপার্জনে এখন কি ভাবে চলবো। বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেলো হয়তো ক্ষতি কিছুটা কম হবে।
তথ্য বলছে, ঝেংঝৌতে কর্মরত আছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যাওয়া প্রায় ২৮ কোটি মানুষ। যারা সবাই উন্নত জীবনের আশায় শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন।
এনএনআর/
Leave a reply