আলোচনায় এলো বার্সেলোনায় হোসে মারিয়া বার্তোমেউয়ের বিতর্কিত প্রেসিডেন্টশিপের আরেকটি ঘটনা। ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার ফিলিপে কৌতিনিওকে কিনতে বার্তোমেউ প্রশাসনকে বাধ্য করেছিল লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজ, এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ পত্রিকা স্পোর্তে।
তাদের দাবি, কৌতিনিওকে কেনার কোনো আগ্রহই ছিল না ক্লাবের বা বার্তেমেউয়ের। মেসি ও সুয়ারেজের অনবরত চাপে অবশেষে চড়াদামে লিভারপুল থেকে কৌতিনিওকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয় ক্লাব। স্পোর্তের সাংবাদিক হোয়ান ভেহিলসের এক প্রতিবেদনে এভাবে মেসি-সুয়ারেজের দিকে আঙুল তোলা হলো।
কৌতিনিও সাইনিংকে বার্সা ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ দলবদল হিসেবেই ধরা হচ্ছে। ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল থেকে ২০১৮ সালে ক্লাব রেকর্ড ১৪২ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়ায় বার্সা। এরপর তাকে নিয়ে আশাবাদী হবার মতো পারফর্ম খুব কমই করতে পেরেছেন কৌতিনিও। আর এখন নিঃসন্দেহে বার্সার আরেক ফ্লপ সাইনিং ওসমান ডেম্বেলের চেয়েও কৌতিনিওর সাইনিংকে ধরা হয় আরও বড় ফ্লপ হিসেবে। ইনজুরি প্রবণ ডেম্বেলে ফিটনেস ফিরে পেলে স্কোয়াডে জায়গা পান এবং প্রায়ই তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। কিন্তু কৌতিনিওর ইনজুরি পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপেও তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব একটা দৃশ্যমান নয়। তাকে লোনে অন্য ক্লাবে পাঠানোর চেষ্টা করেও আগ্রহী কোনো ক্লাব পাচ্ছে না বার্সা।
এ অবস্থায় হোয়ান ভেহিলসের প্রতিবেদনের পর বার্তোমেউয়ের উপর অভিযোগের তীব্রতা কমতে পারে। কারণ মেসি থাকার পরও আরেকটা নাম্বার টেনকে বার্সায় নিয়ে আসার পেছনে বার্তোমেউয়ের একগুঁয়েমিকেই সবাই দায়ী করে আসছে। প্লেমেকার কৌতিনিওকে একবার উইঙ্গার এবং একবার ফলস নাইন হিসেবে খেলিয়ে কোনোভাবেই তাকে বার্সা সিস্টেমে কার্যকর করা যায়নি।
এর আগে বার্সার ফরোয়ার্ড ট্রায়ো ভেঙে নেইমারকে নিয়ে যায় পিএসজি। এতে মেসি ও সুয়ারেজ হতাশ হয়ে চাচ্ছিলেন নেইমারের দেশের সেরা কোনো স্ট্রাইকারকে। কৌতিনিওই ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। তাই মেসি-সুয়ারেজের পীড়াপীড়িতে এ ব্রাজিলিয়ান তারকাকে কিনে আনতে বাধ্য হয় বার্সেলোনা। অন্যদিকে বার্সায় আসতে মরিয়া কৌতিনিও ঘোষণা দেন, তিনি লিভারপুলের সাথে অনুশীলন করবেন না।
স্পোর্তের এমন প্রতিবেদনে ইউরোপীয়ান ফুটবলে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অবশ্য এই প্রতিবেদনটিকে অনেকেই গ্রহণ করছেন না। তারা মন্তব্য করেছেন, সাংবাদিক হোয়ান ভেহিলস বরাবরই বার্তোমেউর স্বার্থ রক্ষা করে আসছেন।
তথ্যসূত্র: স্পোর্তে, লিভারপুল ইকো
Leave a reply