মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আজও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার চলছে। ১৪ দিনের বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল হতে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নৌ রুটের সচল ৭ টি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী, ও প্রাইভেট কার।
শুধুমাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও এ নিয়ম মানা হচ্ছে না একদমই। শত শত যাত্রী বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আবার শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার চলাচল করছে। তবে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি। ফেরিতে যাত্রী চাপ ও জড়োসড়ো অবস্থানে উধাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঘাট অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। অসুস্থতা, টিকা গ্রহণ ছাড়াও গাড়িতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া স্টিকার লাগিয়েও চলাচল করছেন অনেকে।
অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌছে ঢাকামুখি যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোটযানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে ঢাকা। বিধি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া থেকে ঢাকায় রুটে ভাড়ায় চালিতে মাইক্রোবাস চলাচল কর করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই তিনগুণ বেশি ভাড়া।
যাত্রীরা জানায়, জীবিকার জন্য কর্মস্থলে আর প্রয়োজনের তাগিদেই ঢাকায় ছুটছেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল হোসাইন জানান, নৌ রুটে ৪ টি বড় ও ৩ টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৭ টি ফেরি সচল রয়েছে। প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। আজও সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, গাড়িতে সরকারি ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে ঢাকা থেকে ঘাটে আসা বেশকটি গাড়ির মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যেসব গাড়ি নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলাচল করছে তাদেরও জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। যাত্রীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখানো ছাড়া কাউকে ঘাটে কিংবা ঢাকার অভিমুখে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
Leave a reply